Nazmul Islam Ananto

profile-pic
Student at Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) studying Computer Science and Engineering (CSE).
Dark Mode

Intersteller : an attempt to explain



Interstellar film poster.jpg
By Source, Fair use, Link

মানুষ যখন ফাইভ ডাইমেনশনাল প্রযুক্তি ও জ্ঞান রপ্ত করলো, তখন তারা কুপারের জন্য একটা ফোর্থ ডাইমেনশনাল টেসারেক্ট বানাইল। টেসারেক্ট হচ্ছে একটা কিউবের ফোর্থ ডাইমেনশনাল ভার্স্ন। ফাইভ ডাইমেনশনাল জ্ঞানীদের কাছে এটা সোজা , যেমনটা সোজা থ্রি ডাইমেনশনাল মানুষের একটা টু ডাইমেনশনাল কাগজ বানানো।

তো এই টেসারেক্ট বানানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কুপার যেন থ্রি ডাইমেনশনে থেকেই ফোর্থ ডাইমেনশনের সাথে ইন্টারেকশন করতে পারে, ফোর্থ ডাইমেনশন মানে আমাদের প্রচলিত তিন ডাইমেনশনের সাথে টাইমকে একটা ডাইমেনশন হিসেবে যোগ করা, যেখানে টাইমকে ধরা ছোয়া এমনকি বাকানো যাবে (ঠিক যেমন গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং এর সময় স্থান বেকে গিয়ে আলো বেকে যায়) , আর সেটা শুধুমাত্র ভরবেগের সাহায্যে। তো কুপার তার ভরবেগের সাহায্যে স্থানকাল কে বাকিয়ে প্রথমে ধুলার পতন কে কন্ট্রোল করে বাইনারি তে একটা ইংগিত দেয়, এটা যেহেতু স্বাভাবিক স্থানকালকে কুপার বাকায়া দিসে, তাই বালুগুলাও বাকানো স্থান দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পড়ে, এটাকেই বলা হইসে গ্র্যাভিটেশনাল এনোমালি। আর অই টেসারেক্ট যেহেতু ব্ল্যাক হোলের সিংগুলারিটির মধ্যে তাই তার মধ্যে সময় থমকে যায় এবং মাল্টিভার্সের যে আইডিয়া অর্থাৎ বিভিন্ন টাইম নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যমান যেখানে একই ঘটনা বারবার প্রতিটা মাল্টিভার্সে ঘটতে থাকে, এরকম অসীমসংখ্যক মাল্টিভার্স দেখানো হইসে। অর্থাৎ , কুপারের মেয়ের জীবনের প্রতিটা ঘটনাই অইখানে থমকে গেছে ছোট ছোট সময় ব্যবধানে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে তাই একই ঘটনাকে বারবার অনেক গুলা সিমেট্রিক জায়গায় ঘটতে দেখা যায় এবং কুপারের মেয়ের এরকম অসীম সংখ্যক জীবনকালের একটা সমারোহ দেখা যায়, কুপার তার মধ্যে কিছু সময় বের করে এবং তার ভরবেগ দ্বারা স্থানকালকে বাকিয়ে কখনো ধুলা আবার কখনো ঘড়ির কাটার গতি নিয়ন্ত্রণ করে।

আর যেহেতু ফিফথ ডাইমেনশনের জ্ঞানী প্রাণী অর্থাৎ ভবিষ্যতের উন্নত মানুষের কাছে কোয়ান্টাম ডেটা থাকে (যেটা কুপার মোর্স কোডের মাধ্যমের স্থান কালকে বাকিয়ে প্রেরণ করেছে) তাই তারা গ্র্যাভিটি ইকুয়েশন সলভ করে ব্ল্যাকহোলের ভিতরের অবস্থা জেনে যায় এবং সেকারণেই ব্ল্যাক হোলের ভিতরে টেসারেক্ট নির্মাণে সমর্থ হয়। কুপারের কাজ শেষ হলে একই প্রযুক্তির মাধ্যমের ব্ল্যাক হোলের ভেতরেই ওয়ার্মহোল বানিয়ে তার মধ্য দিয়ে কুপারকে শনিগ্রহের কাছে নিয়ে আসা হয়। আর যে ওয়ার্মহোল টা অভিযান শুরুর ৪৮ বছর আগে কেউ স্থাপন করেছে সেটাও অই ফিফথ ডাইমেনশনের জ্ঞানলব্ধ মানুষেরই কাজ।

Necessary links :
Wikipedia
IMDB



Share on :